ঘরের মধ্যেই খুনটা ঘটেছে – মৃতদেহ এখনো মেঝেতে পড়ে কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আর ঠিক ততোটাই হতবাক অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাড়ির পরিচারক। গুলির শব্দ শুনে সে-ই প্রথম দৌড়ে এসে দরজা ভেঙ্গে ঢুকেছিল, কিন্তু ঘরের মধ্যে কর্তার মৃতদেহটি ছাড়া আর কাউকে দেখতে পায়নি। গোয়েন্দারাও এসে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন, কিন্তু খুনী যেন ভোজবাজির মতন উধাও হয়ে গেছে ঘর থেকে – দরজা বাইরে থেকেই বন্ধ ছিল, জানলাও খোলা নেই, তন্ন তন্ন করে খুঁজে চোরাকুঠুরি ধরণেরও কিছু পাওয়া যায় নি। এদিকে পরিচারক দিব্যি গেলে বলছে যে কর্তার সঙ্গেই ঘরের মধ্যে ঢুকেছিল এক দর্শনার্থী।
‘লকড রুম মিস্ট্রি’ নিয়ে পাঠকের কৌতূহল বহুকালের, আর কৌতূহলটা শুধুই খুনী কে সেটা জানার জন্য নয় – খুনটা কেমন করে হল সেটাই এ ধরণের রহস্য-সাহিত্যে তুরুপের তাস। উৎসাহী পাঠকেরা অবশ্য আরো একটু এগিয়ে ভাবতে বসেন লেখক কিভাবে গড়ে তুললেন রহস্যের এই ঊর্ণজাল, ব্যাকওয়ার্ড ইন্ডাকশনে শেষ থেকে শুরু করেছেন নাকি রহস্যবিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নিজেই ডিটেকটিভ সেজে বার করে ফেলেছেন সমাধানের রাস্তা? রহস্য গল্পনির্মাণে লেখকের মুন্সিয়ানা এমনিতেই জরুরী, আর লকড রুম মিস্ট্রি হলে তো কথাই নেই – সামান্য লজিক্যাল বিচ্যুতিতে পাঠকেরা হইহই করে উঠবেন। কখনো সখনো খেই হারিয়ে লকড রুম মিস্ট্রির লেখকেরা হাস্যকর সব পন্থা বেছে নিয়েছেন বটে, ভিকটিম হাসতে হাসতে হার্টফেল করে মারা গেছেন কিংবা ঘরের ফার্নিচারের মধ্যে লুকিয়ে থেকেছে বামন আততায়ী। কিন্তু এগুলো ধরবেন না, টেকনিক্যালিটিজ নিয়ে মাথা ঘামালে হয়ত লকড রুম মিস্ট্রি বলাও যাবে না এ ধরণের অসফল গল্পগুলিকে। কিন্তু লকড রুম মিস্ট্রির হল অফ ফেমে রয়ে যাওয়া গল্পগুলি পড়লে আপনি লেখকদের মুন্সিয়ানাকে তারিফ না জানিয়ে পারবেন না, লজিক্যাল ট্যুইস্টের চূড়ান্ত পর্যায়ে চোখ গোল গোল করে ভাববেন “এতও মাথায় আসে”!
এরকমই এক লেখক জন ডিক্সন কার, যিনি কার্টার ডিক্সন ছদ্মনামে লিখতেন। জন ডিক্সনের লেখা ‘দ্য হলো ম্যান’ সম্ভবত সব থেকে বেশী চর্চিত লকড রুম মিস্ট্রি। আজকের পোস্ট ব্যক্তি জন ডিক্সনকে নিয়ে নয়, সে সম্পর্কে বিশদ জানতে চাইলে উইকি দেখে নিতে পারেন। আজকের আলোচনা বরং জনের লেখা বেশ কয়েকটি লকড রুম মিস্ট্রি নিয়ে, যেখানে খুনের গতিপ্রকৃতি দেখলে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে আপনি রহস্য গল্প নয়, ভুতুড়ে গল্প পড়ছেন। এখানে স্পয়লার অ্যালার্ট দিয়ে রাখি, যদিও আমি গল্পগুলোর নাম নিচ্ছি না (জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে একটা মেসেজ রেখে দেবেন) কিন্তু বন্ধ ঘরের মধ্যে আততায়ী কি ভাবে এসেছে সে নিয়ে কিছু কথা থাকছে।
ইংল্যান্ডের সমারসেটে একটি গ্রামে এক তরুণী হঠাৎ বেনামী চিঠি পেতে শুরু করলেন। ঠিক বেনামী অবশ্য নয়, চিঠির লেখক বা লেখিকা নিজেকে দাবী করেন বহুদিন আগে মারা যাওয়া এক বিধবা যাঁর ছবি বহুদিন ধরে ওই গ্রামের ছেলেমেয়ের মনে ভয় জাগিয়ে এসেছে। অবিবাহিতা এই তরুণীকে যৌন ব্যাভিচা্রে লিপ্ত থাকার দুর্নাম দিয়ে ভয় দেখানো হয় এই অশরীরী আত্মা শীঘ্রই তাঁকে দর্শন দেবে। হয়ত অনুমান করতে পারছেন যে তরুণীটি সত্যিই একদিন মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে নিজের ঘরে সেই মহিলাকে দেখতে পান, বীভৎসদর্শন সেই অশরীরীকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভয়ে তরুণীটি প্রায় উন্মাদ হয়ে যান। যতবার আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠতে গেছেন, সেই মুখটিও ব্যঙ্গ করে চেঁচিয়ে উঠেছে, যতবার হাত বাড়িয়েছেন মুখটিকে দূরে সরিয়ে দিতে ততবারই সেই মুখের অধিকারিণীও হাত বাড়িয়ে ধরতে এসেছেন তরুণীকে। কার মুখ? অশরীরী আত্মা না হলে ঘরে ঢুকলই বা কি করে?
অতিথিরা জড়ো হয়েছেন একটা অন্য ধরণের সন্ধ্যা কাটানোর অভিপ্রায়ে – গৃহস্বামী এক হিপনোটিস্টকে ভাড়া করেছেন তাঁদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। সম্মোহিত হলেন আর কেউ নয়, গৃহস্বামীর স্ত্রী। সমস্ত অতিথির সামনেই তাঁকে বলা হল গৃহস্বামীর দিকে পিস্তল থেকে গুলি ছুঁড়তে, অতিথিরা সবাই যদিও জানেন যে পিস্তলে একটাও আসল গুলি নেই। ভদ্রমহিলা সম্মোহিত অবস্থাতেও অবশ্য পিছিয়ে এলেন। দ্বিতীয়বার তাঁকে বলা হল টেবলের ওপর রাখা একটা ছোরা গৃহস্বামীর বুকে বসিয়ে দিতে, এবারেও প্রত্যেক অতিথিই দেখে নিয়েছেন যে ছোরাটি রাবারের তৈরি। মহিলা এবারে সম্মত হলেন, কিন্তু ছোরাটি সজোরে বিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেল কোন মন্ত্রবলে যেন রাবারের ছোরাটি হয়ে গেছে আসল। চোখের সামনে এই বীভৎস হত্যাকান্ড দেখে অতিথিরা স্তম্ভিত কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেন না সবার চোখের সামনে থেকে রাবারের ছোরাটি বদলানো হল কি ভাবে?
তৃতীয় গল্পটি শুরু হচ্ছে যখন ছোট্ট একটি ইংলিশ গ্রামে এক তরুণ তাঁর বাগদত্তাকে নিয়ে ক্রিকেট খেলা দেখতে যান, ফেরার পথে বাগদত্তার ইচ্ছেতে তাঁরা নামেন এক এক জ্যোতিষীর আস্তানায়, এই জ্যোতিষী আবার পেশায় ক্রাইম এক্সপার্ট। এই জ্যোতিষীর কাছেই তরুণটি জানতে পারেন তাঁর বাগদত্তা এর আগে তিনজন স্বামীকে হত্যা করেছেন, প্রত্যেকবারেই মনে হয়েছে নিহতরা যেন আত্মহত্যা করেছেন – অথচ কি উপায়ে যে তাঁদের শরীরে বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড ঢোকানো হয়েছে তা জানার উপায় নেই। সেই রাতেই রহস্যজনক ভাবে জ্যোতিষীটি মারা যান, চতুর্দিক থেকে বন্ধ ঘরে আরো একবার অদৃশ্য আততায়ী এসে ইঞ্জেক্ট করে যায় হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড। তদন্তের সময় উপরন্তু দেখা যায় মৃত্যুর বেশ কিছু আগে ওই ঘরেই কেউ রাইফেলের গুলি ছুঁড়েছে । কেন ছোঁড়া হল এই গুলি? প্রথমে কি তাহলে গুলি করে মারারই প্ল্যান ছিল খুনীর?
পরের গল্পটির পটভূমিকা আক্ষরিক অর্থেই প্রায় ভৌতিক। এক ভদ্রলোক একটি বহু পুরনো বাড়ি কিনে তাঁর বন্ধুদের ডেকেছেন একটি উইকএন্ড কাটিয়ে যাওয়ার জন্য – বাড়িটির ইতিহাস অবশ্য দুর্বলহৃদয় মানুষদের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। বহু আগে এক বাটলার ওই বাড়ির বিশাল ঝাড়লন্ঠন চাপা পড়ে মারা যান; আরো শোনা যায় বাড়ির ভূতপূর্ব বাসিন্দাদের সঙ্গে ঘটেছে বেশ কিছু অত্যাশ্চর্য ঘটনা, যেমন নাকি দেওয়ালের সামনে রাখা চেয়ার আপনাআপনিই এগিয়ে এসেছে। অতিথিরা বাড়িতে আসার পর থেকেই ঘটতে থাকে একাধিক অত্যাশ্চর্য ঘটনা – এক মহিলা দাবী করেন কেউ বা কিছু সোফার তলা থেকে তাঁর গোড়ালি চেপে ধরেছে, ঝাড়বাতি দুলতে শুরু করেছে নিজে থেকে, বন্ধ দেওয়ালঘড়ির পেন্ডুলাম হঠাৎ চলতে শুরু করেছে। কিন্তু নিছক ভয় পর্যবসিত হয় গভীর আতঙ্কে যখন তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে দেওয়াল থেকে ঝুলতে থাকা একটি বন্দুক এগিয়ে এসে গুলি করে মারে চতুর্থ এক অতিথিকে। ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে অতিথিরা প্রায় বিশ্বাস করতে শুরু করেন বাড়িটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উইচক্র্যাফটের ইতিহাসকে।
শেষ যে গল্পটির কথা বলতে চাই সেখানে আবার জড়িয়ে প্রাচীন মিশরীয় অভিশাপ। পিরামিড খুঁড়তে গিয়ে বাবা এবং মেয়ে খুঁজে পান ব্রোঞ্জের তৈরি একটি আশ্চর্য সুন্দর ল্যাম্প। স্থানীয় অধিবাসীদের কথা না শুনেই মেয়ে ল্যাম্পটি নিয়ে ফিরে আসেন ইংল্যান্ডে নিজের বাড়িতে। তিনি বাড়িতে ঢোকার তিন মিনিটের মধ্যে মেয়ের বন্ধুরাও পেছন পেছন ঢোকেন এবং স্তম্ভিত হয়ে লক্ষ্য করেন বিশাল হলঘরের মধ্যে ব্রোঞ্জের ল্যাম্পটি রয়েছে, রয়েছে তাঁদের বন্ধুর ছেড়ে যাওয়া ওভারকোট কিন্তু স্বয়ং বন্ধু যেন হাওয়ায় মিশে গেছেন। কোথায় গেলেন তিনি? ব্রোঞ্জের ল্যাম্পের সঙ্গে কি আদৌ কোনো যোগাযোগ আছে এই নিরুদ্দেশ রহস্যের? রহস্য আরো ঘনীভূত হয় যখন মেয়ের সঙ্গেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান বাবা-ও, একই ভাবে।
লকড রুম মিস্ট্রির সমাধানকে মোটামুটি ভাবে কুড়ি রকম ভাগে ভাগ করা যায়, এ নিয়ে বিশদ আলোচনা আছে রবার্ট অ্যাডের বই “লকড রুম মার্ডারস”-এ। একটি অন্যতম কায়দা হল যন্ত্রের ব্যবহার – যে কায়দায় দ্বিতীয় গল্পে আততায়ী রাবারের ছোরা বদলে রেখে দিয়েছিল সত্যিকারের ধাতব ছোরা। সম্মোহিত ভদ্রমহিলাকে যখন হিপনোটিস্ট “ওয়ন, টু, থ্রী…ফায়ার” বলে আদেশ দিচ্ছেন তখন ঘরে উপস্থিত সবাই একাগ্রচিত্তে সেদিকেই তাকিয়ে। আততায়ীও সে মুহূর্তে ঘরে উপস্থিত, lazy tongs নামের একটি বিশেষ ধরণের চিমটের সাহায্যে মাত্র দশ সেকন্ডে টেবলের ওপর রাখা নকল ছোরাকে সরিয়ে নিয়ে বসিয়ে দেয় আসল ছোরা। এখানে অবশ্য মেন কালপ্রিট হচ্ছে আমাদের সিলেকটিভ অ্যাটেনশন। বিশ্বাস না হলে এই ইউটিউব ভিডিওটি দেখতে পারেন, সাইকোলজির প্রফেসরদের খুব পছন্দের একটি এক্সপেরিমেন্ট।
যন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে আরো একটি গল্পে – চার নম্বর। হয়ত অনেকেই অনুমান করে থাকবেন যে বাড়িটি আদপেই হন্টেড হাউস নয়, বরং ট্রিক হাউস। যে সমস্ত জিনিসকে নিজে নিজেই কাজ করতে দেখা গেছে তার সবকটাই ধাতুর তৈরি। অর্থাৎ, ভুত নয়, স্রেফ ইলেকট্রোম্যাগনেট ব্যবহার করে নড়ানো হয়েছে ঘড়ির পেন্ডুলাম, ঝাড়বাতি, স্টীলের চেয়ার এবং সব শেষে বন্দুক।
লকড রুম মিস্ট্রিতে আবার অনেক সময়েই আমরা দেখি ‘লকড’ ব্যাপারটা নেহাতই একটা পারসেপশন, মানুষের ধারণা ঘরটি বন্ধ কিন্তু টেকনিক্যালি হয়ত তা নয় – এখন একে জামাই ঠকানো গপ্পোও বলতে পারেন অথবা মেনে নিতে পারেন যে এই আপাত-বিভ্রান্তিও রহস্যেরই অংশ। তিন নম্বর গল্পে কি ঘটেছে দেখুন – দরজা বন্ধ, চার দিকে দেওয়াল, কিন্তু সেই এক দেওয়ালে রয়েছে একটি জানলা। ওই যে খুনী গুলি ছুঁড়েছে, সেটি কিন্তু জ্যোতিষীকে মারার জন্য নয় – জানলায় একটা ফুটো করার জন্য। ফুটো হয়ে গেলে জানলার ভেতর দিকের হাতলে ভারী সুতো জড়িয়ে খুলে ফেলা কয়েক সেকন্ডের ব্যাপার। আর ভিকটিমকে যদি আগে থেকেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হয় তাহলে তো বলা বাহুল্য যে হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড শরীরের ঢুকছে সে বোঝার কোনো অবকাশই থাকবে না।
প্রথম গল্পে যে ভাবে তরুণীটিকে প্রায় উন্মাদ করে তোলা হয়েছিল সেই কায়দাটি অবশ্য এই কুড়ি ধরণের সলিউশনের মধ্যেও পাবেন না। এখানে তরুণী নিজেই নিজের আততায়ী! একটু ভেঙ্গে বলা যাক। এ ক্ষেত্রে ঘরটি বন্ধ করা হয়েছিল বাইরে থেকে, ভেতর থেকে নয় – অবশ্য সে সময়ে একাধিক লোক ছিলেন ঘরের বাইরে। কিন্তু শেষ যে ব্যক্তি ঘরের মধ্যে ঢুকেছিলেন তিনি ঘুমন্ত তরুণীর মুখে জলরঙ দিয়ে এঁকে এসেছিলেন সেই প্রাচীনা বিধবার মুখ। মাঝরাত্রে বাইরে থেকে আসা জোরালো শব্দে তরুণীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে পূর্ণচন্দ্রের আলোয় সামনের আয়নায় নিজের মুখই দেখেছেন তিনি, কিন্তু অবচেতনে জমে থাকা ভয় তাঁকে বুঝিয়েছে এ সেই অশরীরী আত্মা যে বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছে এক বিশেষ দিনে সে দেখা দেবে।
পাঁচ নম্বর গল্পটির সমাধান কি হতে পারে একটু ভাবুন, শুধু মনে রাখবেন seeing is not always believing! আপনিই যখন ডিটেকটিভ তখন এটাও মাথায় রাখতে হবে ভিকটিম যে কে সেটাই এখানে স্পষ্ট নয়।
গল্পগুলো অবশ্য এর পরেও পড়বেন কারণ রহস্য উপন্যাসের মোটিভ অপরাধ পদ্ধতির থেকেও বেশী ইন্টারেস্টিং হতে পারে, লকড রুম মিস্ট্রি বা ইম্পসিবল মার্ডার তার ব্যতিক্রম নয়। আর যদি শুধুমাত্র অপরাধ পদ্ধতি নিয়েই আপনি উৎসাহিত হন তাহলেও অসুবিধা নেই, একা জন ডিক্সনই লিখে গেছেন শতাধিক লকড রুম মিস্ট্রি।
বাঃ, জন ডিক্সন পড়া হয়নি। পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂
ঘটনাগুলোর বিবরণ পড়ে খুব ভাল লাগলো।
LikeLike
Duronto 🙂
LikeLike